

গাড়ি পালা আর হাতি পালা নাকি সমান ! গাড়ি কেনার পর তার রক্ষণাবেক্ষণের পেছনে ব্যয় হয় অনেকখানি শ্রম ও সময়। গাড়ি কেনার পর তার যত্ন-আত্তি করা তাই একটু ঝামেলার কাজ ই বৈকি! তবে, নিয়মিত গাড়ির যত্ন নিলে গাড়ির আয়ু ত বাড়বেই; একই সাথে গাড়ির বিভিন্ন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা ও কমে যায়।
ফলে গাড়ির মালিকের অনেক খরচ ও কমে যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক গাড়ির যত্নে ৮ টি জরুরি টিপস।
গাড়ির ব্যাটারি অনেকটা গাড়ির হৃদপিন্ডের মতো। এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটির তাই চাই বাড়তি যত্ন।
ব্যাটারির স্থায়িত্ব বাড়াতে এটি সবসময় পরিষ্কার রাখা জরুরি। ব্যাটারিতে সবসময় ডিসটিলড ওয়াটার ব্যবহার করুন এবং সময় করে পানির লেভেল ও চেক করতে হবে।
এই ধুলো মাখা বাতাস; পরক্ষনেই ঝুম বৃষ্টি – এমন আবহাওয়ায় গাড়িকে প্রচুর ধকল সহ্য করতে হয়। এজন্য গাড়ির রোজ যত্ন করতে হয়। তাই নিয়মিত গাড়ির সিটে জমে থাকা ধুলোবালি ব্রাশ কিংবা ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করুন।এছাড়াও গাড়ির উইন্ডশিল্ড, জানালার গ্লাস ও হেডলাইট পরিষ্কার করুন। গাড়ির বাহিরের অংশ হালকা নরম ব্রাশ দিয়ে সাবানের সাহায্যে নিয়মিত ধৌত করুন। খেয়াল রাখবেন গাড়ি যাতে সপ্তাহে একদিন অন্তত ধৌত করা হয়।
গাড়ির ব্রেক সিস্টেমগুলোর সঠিক পরিচর্যা আপনার ও আপনার প্রিয়জনকে বাঁচাতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা থেকে । আপনার গাড়ির সাথে দেয়া ম্যানুয়াল বই থেকে ব্রেক সিস্টেমের যত্ন নেবার পদ্ধতি ভালো করে শুরুতেই জেনে নিন। গাড়ির প্যাডেলে চাপ দিলে মৃদু কম্পন কিংবা আওয়াজ হচ্ছে মনে হলেই ব্রেক প্যাড দ্রুত বদল করুন।
বছরে কমপক্ষে একবার গাড়ির ব্রেক সিস্টেম এক্সপার্টদের দ্বারা চেক আপ করিয়ে নিন।
গাড়ির ইঞ্জিন ভালো রাখতে প্রতি ৩ মাস অন্তর অথবা ৩০০০ মাইল চালানোর পর গাড়ির তেল বদলাতে হয়। গাড়িতে ভেইকেল ট্র্যাকার ব্যবহারের সাহায্যে গাড়ির যাবতীয় তথ্য (জ্বালানি খরচ, ফুয়েল কতটুকু ব্যয় হচ্ছে, কতটুকু রিফিল হচ্ছে) রিপোর্ট আকারে পাওয়া যায়।
টায়ারে কতটা প্রেশার রয়েছে তা সবসময় খেয়াল রাখা দরকার। নিজেই টায়ার প্রেশার মাপা শিখে রাখলে ভালো। গাড়িতে ডিজিটাল টায়ার চাপ গেজ রাখতে পারেন। শুধু টায়ার প্রেশার না; টায়ারের স্ফীতি মাপাও জরুরি।
গাড়ির ইঞ্জিনের মতো অতিব গুরুত্বপূর্ণ অংশকে ভালো রাখতে সহায়তা করে গাড়ির কুলিং সিস্টেম। গাড়ির কুলিং সিস্টেম গাড়ির ইঞ্জিনের তাপমাত্রা সঠিক রাখে। তাই অবশ্যই এই অংশটিকে নিয়মিত এক্সপার্ট দ্বারা পরীক্ষা করান।
একটি ভালো মানের জিপিএস ট্র্যাকার ইন্সটল করে নিলে তা গাড়ির নিরাপত্তা বৃদ্ধির সাথে সাথে গাড়ির সার্বিক সুস্থতার জন্য ও কাজে দেয়। গাড়ি নিয়ে ড্রাইভারের যত্রতত্র ব্যবহার, গাড়ির যাবতীয় তথ্য, ফুয়েল মনিটরিং – এ সব ই জিপিএস ট্র্যাকারের সাহায্যে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বর্তমানে সেরা জিপিএস ট্র্যাকার হল ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার যার ব্যবহারের মাধ্যমে গাড়িকে আপনি সর্বোচ্চ সুরক্ষা দিতে পারবেন।
উপরের টিপসগুলো মেনে চললে শুধু আপনার গাড়ির যত্ন ই নয়; আপনার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও কাজে দেবে।
Monico Bhaban, House No. 26-27, Ring Road, Adabor, Dhaka - 1207, Bangladesh
Copyright © | All Rights Reserved by Finder-lbs