Skip to content

Login |

Home » ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকারঃ চোখের আড়াল হলেও গাড়িকে রাখে চোখে চোখে

ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকারঃ চোখের আড়াল হলেও গাড়িকে রাখে চোখে চোখে

একটি বিখ্যাত ইংরেজি প্রবাদ- Out of sight, out of mind। বাংলায় যাকে বলে, চোখের আড়াল তো মনের আড়াল। এই প্রবাদটা একদমই বিশ্বাস করতেন না আফজাল সাহেব। কারণ তখনও তিনি ফাইন্ডার ব্যবহার করা শুরু করেননি। তার মতে প্রিয় জিনিস বা ভালোবাসার জিনিসের কথা তো মনের মাঝে থাকে সবসময় ও সবচাইতে কাছে।

কিন্তু কিছুদিন আগে তার সাথে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে যে, তিনি বিশ্বাস করতে বাধ্য হয়েছেন, কোনো কিছু যতই ভালোবাসার হোক না কেন চোখে আড়াল হলে, তার কথা সবসময় মনে নাও থাকতে পারে।

মাস খানেক আগের কথা, প্রিয় গাড়িটা ড্রাইভ করে অফিসে গেলেন। অফিসে ঢুকে ড্রাইভারকে চাবি দিয়ে বললেন ঠিকঠাক পার্ক করে রাখতে। প্রতিদিন এভাবেই গাড়ি ড্রাইভারের দায়িত্বে ছেড়ে অফিস শুরু করেন তিনি। তারপর কাজের মাঝে ডুব দিয়ে কখন যে দুপুর হয়ে যায় বুঝতেও পারেন না। দুপুরে ড্রাইভারকে ফোন করে খোঁজ নেন। কিন্তু সেদিন ড্রাইভারকে কল করে আর ড্রাইভাররের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ফোন ধরছে না তো ধরছেই না। আফজাল সাহেব ভাবলেন হয়ত ড্রাইভার দপুরের খাবার খেতে গিয়েছে। তাই তিনি নিজেই একবার পার্কিং প্লেসে গেলেন গাড়ি নিয়ে বের হবেন ভেবে!

পার্কিং-এ গিয়ে তো চোখ ছানাবড়া! ড্রাইভার নেই, গাড়িও নেই! বহুবার ড্রাইভারকে ফোন করার পর ড্রাইভার ফোন ধরে বলল,  গ্যাস নিতে গিয়েছে। অথচ আফজাল সাহেবের যতদূর মনে পড়ে গাড়িতে  যথেষ্ট পরিমাণে গ্যাস ছিল। ড্রাইভারকে আর জেরা না করে, অফিসের সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করে জানলেন, তিনি যখন অফিসে কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন, তখন ড্রাইভার মাঝে মাঝেই গাড়ি নিয়ে বের হয়। আফজাল সাহেব বুঝতে পারলেন, প্রিয় গাড়িটা কাজের সময়ে চোখের আড়ালে থাকলে, ব্যাস্ততায় গাড়ির নিরাপত্তার কথা ভুলে যান। আর এই সুযোগে হয়ত গাড়ি যার হাতে যেখানে থাকার কথা সেখানে সবসময় থাকে না। ব্যাস্ততায় গাড়ির কথা মনে রাখতে পারেন না। মানে চোখের আড়ালে গেলে মনের আড়াল হয়ে যায় প্রিয় গাড়িটা।

যখনি প্রয়োজন তখনি গাড়ির খবর দেয় ফাইন্ডার

সেদিনের অফসের ঘটনার পর আফজাল সাহেব সিদ্ধান্ত নিলেন, গাড়িকে সবসময় চোখে চোখে রাখার একটা ব্যবস্থা করতেই হবে। বন্ধুবান্ধবের কাছে খোঁজ নিয়ে জানলেন দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকিং সার্ভিসের কথা। 09678-346337 নাম্বারে কল করে নিজের গাড়ির জন্য ফাইন্ডার ভেইকেল ট্র্যাকিং সার্ভিস অর্ডার করলেন। ফাইন্ডারের ইনস্টলেশন টিম তার বাসায় এসেই গাড়িতে ফাইন্ডার যুক্ত করে দিয়ে গেলে। সাথে ফাইন্ডারের মোবাইল অ্যাপও। এখন তিনি যেখানেই থাকেন না কেন, যে কাজের মধ্যেই থাকেন না কেন। মোবাইল হাতে নিয়েই গাড়িকে সবসময় নিজের চোখে রাখতে পারেন। ব্যাপারটা তার জন্য এতটা স্বাস্তির ও আনন্দের যে, তিনি প্রায়ই মোবাইল হাতে নিয়ে গাড়ি কোথায় আছে, কোথায় যাচ্ছে সহ আরও অনেক রকমের আপডেট দেখতে থাকে মোবাইলেই।

ফাইন্ডার বাংলাদেশের প্রথম ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সার্ভিস। বিগত প্রায় ১ যুগ ধরে, হাজার হাজার গাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাচ্ছে ফাইন্ডার। প্রযুক্তির সহায়তায় মানুষের জীবন কতটা সহজ ও নিশ্চিন্ত হতে পারে, তার একটি বড় উদাহরণ ফাইন্ডার।

জিপিএস প্রযুক্তি ও ফাইন্ডার এর ফিচার যেভাবে গাড়িকে হাতের মুঠোয় রাখে

গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়িতে থাকা ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার গাড়ির অবস্থান সহ সব খবরাখবর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গাড়ির মালিকের মোবাইল অ্যাপে পৌঁছে দেয়।

লাইভ ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে আফজাল সাহেব এখন যখন তখন যেখান থেকে খুশি সেখান থেকে তাঁর গাড়ির রিয়েল টাইম লোকশন জানতে পারছেন মোবাইল অ্যাপের ম্যাপে।

গাড়ির ইঞ্জিন স্টার্ট নিলে বা অফ হলে নোটিফিকেশন দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছে ফাইন্ডার ইগিনিশন এলার্ট। কাজের ব্যাস্ততায় গাড়ির কথা ভুলে যাওয়া এখন চাইলেও তার পক্ষে আর সম্ভব না।

শুধু কি গাড়ি, পরিবারের খুব ভালোবাসার মানুষ স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখতে ও দায়িত্ব পালন সহজ করে দিয়েছে ফাইন্ডার। সন্তান সঠিক সময়ে স্কুলে গেলো কিনা, অথবা তার স্ত্রী নিরাপদে ঘরে ফিরেছে কিনা, ফাইন্ডারের জিওফেন্স ফিচারের মাধ্যমেই নিশ্চিত হতে পারছেন।

চোখ ফাঁকি দিয়ে গাড়ি ওভারস্পিডে চলবে? তাও ধরা পড়ে যাবে ফাইন্ডারে। ওভার স্পিড এলার্ট ফিচার জানিয়ে দিবে গাড়ি কখন স্পিড লিমিট ক্রস করেছে। এমনকি গাড়ি যদি কোন বিপদেও পড়ে, গাড়িতে থাকা কেউ ফাইন্ডারের ইমারজেন্সি বাটন চেপে ধরে সাহায্য চাইতে পারেন।

এছাড়াও গাড়ির ফুয়েল মনিটর করা যায়, টায়ারের প্রেশার মনিটর করা যায় অ্যাপের মাধ্যমেই। প্রতিদিন বা মাসে গাড়ি কত পথ চলল, কত জ্বালানি খরচ হলো, কতগুলো ট্রিপ হলো, কোথায় কোথায় ট্রিপ হলো সব হিসাব পেয়ে যাচ্ছেন রিপোর্ট আকারে। ফাইন্ডারের ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার দিন রাত গ্রাহককে সেবা দিতে নিরলস কাজ করে।

অফিসের ট্রান্সপোর্ট ও ফ্লিট ম্যানেজমেন্টে ফাইন্ডার

আফজাল সাহেবের পরামর্শে তার অফিসের ট্রান্সপোর্ট ম্যানেজমেন্টেও ফাইন্ডার যুক্ত করা হচ্ছে। যেন আফিসের সব গাড়ি সহজেই ম্যানেজ করতে পারে। কোম্পানির পণ্য পরিবহণে ফাইন্ডার যোগ করেছে বাড়তি নিরাপত্তা। পণ্য ডেলিভারি ও রুট ম্যানেজমেন্ট সহজ করেছে ফাইন্ডার।

গাড়িতে যারাই ফাইন্ডার ব্যবহার করছেন, তাদেরকে এখন আর গাড়ি নিয়ে টেনশনে থাকতে হয় না। গাড়ি চোখের আড়ালে চলে গেলেও, গাড়ির খবরাখবর চোখের আড়াল হওয়া তো দূরের কথা মনের আড়ালও হয় না। গাড়ি নিয়ে সব ধরণের দুশ্চিন্তা দূর হয়, গাড়ির পেছনে খরচও অনেকটা কমে যায়। নিশ্চিত হয় গাড়ির সঠিক ব্যবহার। কারণ গাড়ির পাশে সবসময় জেগে থাকে ফাইন্ডার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × three =