“বাবা, তোমার কি সুপার পাওয়ার আছে”? স্কুলে যাবার আগে নাস্তার টেবিলে বসে বাবাকে প্রশ্ন করলো অন্তু।
হঠাত সন্তানের কাছ থেকে এই প্রশ্ন শুনে, ঠিক কী উত্তর দিবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না অন্তুর বাবা শাহরিয়ার সাহেব। ছেলেকে কাছে টেনে কাঁধে হাত রেখে বললেন, “হ্যাঁ আছে তো, বাবার ভালবাসাই তো সুপার পাওয়ার”।
অন্তু আবার জিজ্ঞেস করলো, “ড্রাইভার আংকেল আমাকে স্কুলে নিয়ে গেলে তুমি কি জানতে পাও আমি স্কুলে গিয়েছি কিনা”?
“হ্যাঁ, জানতে পাই। তোমার ড্রাইভার আংকেল আমাকে ফোন করে জানায়”!
“না বাবা, আমাদের ক্লাসের রাফি আছে না? ও বলেছে, ওর বাবার সুপার পাওয়ার আছে। ফোন না করলেও জানতে পারে রাফি সময় মতো স্কুলে এসেছে কিনা!”
তাই? তাহলে তো আমাদেরও একটা সুপার পাওয়ার লাগবে। বাবা তোমার দেখাশোনার জন্য সুপার পাওয়ার নিয়ে আসবে।
রাফির বাবা রায়হান সাহেব, শাহরিয়ার সাহেবেরও বন্ধু। তারা নিজেরা বন্ধু, তাদের ছেলেরাও একজন আরেকজনের বন্ধু। একই এলাকায় থাকে। একই স্কুলে পড়াশোনা করে। ছেলের মুখে বন্ধুর সুপার পাওয়ারের কথা শুনে শাহরিয়ার সাহেব ফোন করলেন তার বন্ধু রায়হানকে। রায়হান সাহেব ফোন ধরতে না ধরতেই শাহরিয়ার সাহেব জিজ্ঞেস করলেন-
– বল তো আমি এখন কোথায় আছি?
– কই আছিস মানে? বাসায় নাকি অফিসে?
– তোর নাকি সুপার পাওয়ার আছে? তাও বলতে পারছিস না?
– কী বলছিস খোলাসা করে বল তো!
– আরে কি আর বলব, অন্তু আজ বলছিলো। রাফি নাকি ওকে বলেছে, তোর সুপার পাওয়ার আছে। অটোমেটিক জেনে যাচ্ছিস কে কোথায় আছে বা গেছে ?
– ওহ আচ্ছা! এই কথা! এটা আমার সুপার পাওয়ার না, ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকিং সার্ভিসের সুপার পাওয়ার! গাড়িতে ফাইন্ডার ট্র্যাকার ইউজ করি। তাই রাফি যখন স্কুলে পৌঁছে, সাথে সাথে নোটিফিকেশন পাই মোবাইলেই। এছাড়া গাড়ি কখন কোথায় যাচ্ছে। কতো গতিতে চলছে। সবই লাইভ ট্র্যাক করতে পারি। বলা তো যায় না, কখন কি হয়। তাই একটু বাড়তি সুরক্ষা আর কি। চাইলে মোবাইল থেকেই গাড়ির ইঞ্জিনিও বন্ধ করে দেয়া যায়।
– বাহ দারুণ ব্যাপার! আমার গাড়িটার জন্যও একটা নিতে হবে ! সার্ভিস কেমন দেয়? চার্জ কত?
– ফাউন্ডারের সার্ভিস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। আর সার্ভিস চার্জও খুব একটা বেশি না। আমার তো গত ৩ মাসের সার্ভিস চার্জও দেয়া লাগে নাই! একটু বুদ্ধি করে, ফ্রি-তেই ইউজ করছি!
– তাই নাকি! কীভাবে? আমিও নিবো, দাম কেমন?
– তোর আগেও গত ৩ মাসে, ৩ জনকে ফাইন্ডারের কথা বলেছিলাম। তারা আমার রেফারেন্সে ডিভাইস কিনেছিলো বলে, ৩ মাসের সার্ভিস চার্জ ফ্রী পেয়েছিলাম। আমি তোকে রেফার করে দিলে আমিও আরো এক মাসের সার্ভিস চার্জ ফ্রি পাবো!
– তাহলে তো ভালো। আমাকেও রেফার করে দে। আমার ওয়াইফ, অন্তু, অন্তুর দাদা-দাদীও গাড়িতে যাওয়া আসা করে। সবার নিরাপত্তার জন্য বাড়তি সুরক্ষা আসলেই দরকার।
– আমি তোকে আমার ইউজার আইডি তোকে মেসেজ করে দিচ্ছি। তুই ফাইন্ডারে ফোন করে আমার আইডিটা দিলেই তোকে ডিসকাউন্ট প্রাইসে ডিভাইস ইন্সটল করে দিয়ে যাবে।
রায়হান তার বন্ধু শাহরিয়ারকে তার ফাইন্ডার ইউজার আইডিটা মেসেজ করে দিলো। তার রেফারেন্সে ফাইন্ডারে ফোন করে নিজের গাড়িতেও জিপিএস ট্র্যাকিং সার্ভিস ইন্সটল করার জন্য শিডিউল নিলো শাহরিয়ার। ফাইন্ডারের দক্ষ টেকনিশিয়ান টিম শাহরিয়ারের বাসায় এসে ডিভাইস ইন্সটল করে দিয়ে গেল। এবং ফাইন্ডার কাস্টমার কেয়ারও ইন্সটলেশনের পুরোটা সময় সহায়তা করলো।
যখন ফাইন্ডার ইন্সটলেশনের কাজ চলছিলো। তখন বাবার পেছনেই অন্তু দাঁড়িয়ে ছিল। গাড়িতে ডিভাইস ইন্সটল করতে দেখে বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা কী হচ্ছে আমাদের গাড়িতে”?
শাহরিয়ার সাহেব ছেলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “আজ থেকে তুমিও যখন স্কুলে যাবে, তোমার আব্বুও জানতে পারবে তুমি ঠিকঠাক পৌঁছেছ কিনা! রাফিদের মতো আমাদেরও থাকবে সুপার পাওয়ার!”
বন্ধুকে ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকিং সার্ভিস রেফার করে, একদিকে রায়হান সাহেব পেলেন এক মাসের সার্ভিস চার্জ ফ্রি।
প্রতিটি সফল রেফারেলে, এক মাসের সার্ভিস চার্জ ফ্রি, একটি ডিভাইসে।
বন্ধু, আত্মীয় বা প্রিয়জনকে ফাইন্ডার রেফার করে দিলে, ফাইন্ডারের সম্মানিত গ্রাহক হিসেবে আপনিও পাবেন এই সুবিধা! এভাবেই ফাইন্ডার পৌঁছে যাক আপনার কাছের মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায়। আর আপনিও রেফারেল অফারে ফ্রি ফাইন্ডার সার্ভিস উপভোগ করুন! আপনার প্রিয়জনও পাবে ডিসকাউন্ট!