Skip to content

নিম্নমানের জিপিএস ট্র্যাকার: আপনার মোটরসাইকেলের জন্য কতটা বিপজ্জনক?

শহর কিংবা গ্রামে, চলাচলের সহজ ব্যবহারযোগ্য যান হিসেবে মোটরসাইকেলের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যানজট এড়ানো, সময়ের অপচয় রোধ এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের কারণে এই দ্রুত গতির দু চাকার যানটি অনেকের পছন্দের। তবে মোটরসাইকেল চুরি একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে জিপিএস(GPS) ট্র্যাকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি শুধু চুরির ঝুঁকি কমায় না বরং মোটরসাইকেলের অবস্থান জানাতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো মানের জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করা উচিৎ। নাহয় বাজারের নিম্নমানের জিপিএস(GPS) ট্র্যাকার ব্যবহারে সুরক্ষা বাড়ানোর বদলে বরং গাড়ির জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

নিম্নমানের জিপিএস ট্র্যাকার কী?

নিম্নমানের জিপিএস ট্র্যাকার বলতে, যেসকল ডিভাইস সঠিক এবং নির্ভরযোগ্য ট্র্যাকিং সেবা দিতে ব্যর্থ হয়, তাদেরকেই বুঝানো হয়ে থাকে। এসব ডিভাইস বাজারে খুব কম দামে, সস্তায় পাওয়া যায়। এগুলো সাধারণত টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং আপডেট সুবিধা ছাড়াই আসে। ডিভাইসও সস্তা মানহীন উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। যার ফলে সঠিক লোকেশন নির্ণয়ে ভুল করে, জরুরি সময়ে কাজ করে না এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।  

নিম্নমানের জিপিএস ট্র্যাকার কীভাবে বিপজ্জনক?

১. সঠিক লোকেশন না পাওয়া 

জিপিএস ট্র্যাকার ইন্সটল করার ক্ষেত্রে মূল কারণ সাধারণত গাড়িটাকে চোখে চোখে রাখা। কিন্তু নিম্নমানের ট্র্যাকার সেই সেবাটা দিতে পারে না। প্রায় সময়েই ভুলভাল লোকেশন দেখায়। চুরি হলে কিংবা অন্য জরুরি অবস্থায় গাড়ির সঠিক অবস্থান দেখাতে ব্যর্থ হয়। যা বড় একটি সমস্যা। এমনকি অনেক সময় ভুল অবস্থান দেখিয়েও বিভ্রান্ত করে থাকে।  

২. মোটরসাইকেলের ব্যাটারির ক্ষতি 

জিপিএস ট্র্যাকারগুলো সাধারণত মোটরসাইকেলের ব্যাটারির সাথে কানেক্টেড থাকে। অনেক নিম্নমানের ট্র্যাকার অপ্রয়োজনীয় শক্তি খরচ করে থাকে, যা মোটরসাইকেলের ব্যাটারির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। এটি মোটরসাইকেলের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে।  

৩. বারবার ডিভাইস নষ্ট হওয়া  

উৎপাদন খরচ বাঁচাতে এ ধরণের ডিভাইসগুলো সাধারণত নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে। যেগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে এটি বাড়তি খরচের কারণ হয়ে দাঁড়ায় এবং নতুন ডিভাইসের জন্য অতিরিক্ত খরচের প্রয়োজন হয়। 

৪. জরুরি সময়ে অকার্যকর 

চুরি, দুর্ঘটনা কিংবা অন্য যেকোন জরুরি অবস্থায় নিম্নমানের ট্র্যাকার সঠিক তথ্য দিতে ব্যর্থ হয়ে থাকে। আর সে সময় যদি কার্যকরী না হয় তাহলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না। এতে মোটরসাইকেল হারানোর আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়। 

৫. সিগন্যাল সমস্যার ঝুঁকি 

নিম্নমানের ট্র্যাকারগুলো দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চল, গ্রামীণ এলাকায় ট্র্যাকিং এ ঝামেলা করে। সঠিকভাবে ডাটা পাঠাতে পারে না। যার ফলে ট্র্যাকিং এ বিঘ্ন ঘটে, মোটরসাইকেলের অবস্থান জানা অসম্ভব হয়ে পড়ে। 

৬. ফিচারের অভাব

ভালো মানের জিপিএস ট্র্যাকারে রিয়েল-টাইম লোকেশন, জিও-ফেন্সিং, রুট অপটিমাইজেশন এবং ড্রাইভিং বেহেভিয়ার বিশ্লেষণ সুবিধা দেয়। যেগুলো নিম্নমানের ডিভাইসে সাধারণত অনুপস্থিত থাকে, থাকলেও ঠিকঠাক কাজ করে না। 

কেন ভালো মানের জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করবেন? 

একটি ভালো মানের জিপিএস ট্র্যাকার শুধুমাত্র মোটরসাইকেলের সঠিক লোকেশন দেখায় না, এটি ব্যাটারি অপটিমাইজেশন, ডেটা সুরক্ষা এসবও নিশ্চিত করে থাকে। যেকোন সমস্যায় কাস্টমার সার্ভিস সেবা দিয়ে থাকে ২৪/৭। ভালো মানের ট্র্যাকারগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে এবং মোটরসাইকেলের সম্পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। 

বাংলায় একটা প্রবাদ আছে সস্তার তিন অবস্থা। নিম্নমানের জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার মোটরসাইকেলের জন্য নিরাপত্তার বদলে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ট্র্যাকার কেনার আগে ভালো মানের ট্র্যাকার কেনা উচিৎ। সেই সাথে এর কার্যকারিতা, নিরাপত্তা ফিচার, সুবিধা এসব যাচাই করে নেওয়া ভালো।


গাড়ির নিরাপত্তায় ফাইন্ডার সম্পর্কে জানতে
গাড়ির নিরাপত্তায় ফাইন্ডার সম্পর্কে জানতে