কথায় আছে, “চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে”; কথাটি হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন জামাল সাহেব। লোন নিয়ে কেনা গাড়ি হারিয়ে চোখে যেন তিনি এখন সর্ষে ফুল দেখছেন! বন্ধুরা বেশ কয়েকবার ই তাঁকে গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার ইন্সটল করার বুদ্ধি দিয়েছিল। কিন্তু, তিনি তাতে কান দেন নি; যার পরিনাম এখন ভুগছেন। আসলে নিজের সাথে কোন কিছু ঘটার আগ পর্যন্ত আমরা কল্পনাই করি না যে আমাদের সাথেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অথচ পত্রিকার পাতা ওল্টালে কিংবা ফেইসবুক স্ক্রল করলে প্রায়ই গাড়ি চুরির ঘটনা চোখে পড়ে।
গাড়ি চুরির হাল-অবস্থাঃ
করোনা পরবর্তী এ দুই বছরে সারা বিশ্বেই গাড়ি চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। উদাহরণ স্বরুপ, ওয়াশিংটন রাজ্যে, স্থানীয় আইন প্রয়োগকারীরা রিপোর্ট করেছে যে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের প্রথম তিন মাসে যানবাহন চুরি ৮৮ শতাংশ বেড়েছে: গত বছরের প্রথম তিন মাসে মাত্র ৬,৬৯২টির তুলনায় এই বছর এ পর্যন্ত ১২,৫৬৯টি যানবাহন চুরি গেছে। বাংলাদেশেও গাড়ি চুরির ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। শুধুমাত্র রাজধানীতেই প্রতি মাসে ২০-২৫ টি গাড়ি চুরি যাচ্ছে। সারাদেশেই গাড়ি চোরেরা সক্রিয় হয়ে পড়েছে।
আজকাল অভিনব কায়দায় গাড়ি চুরি হচ্ছে। গাড়ির চুরির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে “মাস্টার কি” বা বিশেষ চাবি; যা দিয়ে মাত্র ১ থেকে ৫ মিনিটে পারকিং ও রাস্তার পাশে রাখা গাড়ির লক ভেঙ্গে চোখের পলকে গাড়ি হাওয়া হয়ে যাচ্ছে।
তবে আশার কথা হচ্ছে চুরি যাওয়া বেশ কিছু গাড়ি উদ্ধার ও হচ্ছে। আর যে ডিভাইসটি গাড়ি উদ্ধার কাজকে সহজ করে দিচ্ছে– তা হলো জিপিএস ট্র্যাকার।
জিপিএস ট্র্যাকার:
গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) প্রযুক্তির মাধ্যমে গাড়িতে থাকা জিপিএস ট্র্যাকার গাড়ির অবস্থান সহ সব খবরাখবর স্যাটেলাইটের মাধ্যমে গাড়ির মালিকের মোবাইল অ্যাপে পৌঁছে দেয়।
গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকার থাকলে মোবাইলে লাইভ ট্র্যাকিং এর সাহায্যে গাড়ির গতিবিধি জানা, লোকেশন ট্র্যাকিং, ওভারস্পিড এলার্ম, ইঞ্জিন কেউ অন করলেই ইগনিশন এলার্ট এবং দূর থেকে গাড়ির ইঞ্জিন অফ করার মাধ্যমে গাড়িকে হাতের মুঠোয় রাখা সম্ভব।
চুরি যাওয়া গাড়ি দ্রুত ফিরে পান, ফাইন্ডার ট্র্যাকারের সাহায্যেঃ
গাড়ি চুরি ঠেকাতে জিপিএস ট্র্যাকার এর কোন বিকল্প নেই, তা ত বোঝা গেল। কিন্তু, মোটামুটি সব জিপিএস ট্র্যাকার এই ত নির্দিষ্ট কিছু ফিচারস রয়েছে। তাহলে কোন জিপিএস ট্র্যাকার সেরা? জিপিএস ট্র্যাকার থাকা সত্ত্বেও গাড়ি চুরি যাচ্ছে কেন? চুরি যাওয়া গাড়ি দ্রুত ফিরে পেতে কোন জিপিএস ট্র্যাকার ব্যবহার করবো? এ প্রশ্নগুলো নিশ্চয়ই আপনার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে! উত্তরগুলো জানতে আরো দুটো গল্প শোনা যাক–
(১) সাবরিনা আহমেদ(ছদ্দনাম) পেশায় একজন ডাক্তার। বর্তমানে আছেন লালমাটিয়া। দিন-রাত হসপিটাল ও চেম্বারে দৌড়াদৌড়ি করে ব্যস্ত সময় কাটে। শখ নয়; গাড়ি তার কাছে তাই অতি প্রয়োজনীয় বাহন । সেদিন ও রোজকারের মতো গাড়ি লক করে চেম্বারের পার্কিং জোন এ রেখে রোগী দেখা শুরু করেন আর মোবাইলে মাঝেমধ্যে গাড়ির লোকেশন দেখছিলেন। কিছুক্ষণের জন্য রোগী দেখায় তিনি মনোযোগী হয়ে পড়েন; আর এ সুযোগে চোর তার গাড়ি নিয়ে পগাড় পার!
সাবরিনা আহমেদ ঘাবড়ে যান নি; কারন তাঁর গাড়িতে লাগানো আছে ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার। তৎক্ষণাৎ তিনি ফাইন্ডারের কাস্টমার কেয়ারে ফোন দেন। কাস্টমার কেয়ার তাঁকে গাড়ির লোকেশন জানান। ফাইন্ডার টিম জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে আইনি সহায়তা চান। গাড়ি ততক্ষনে এলিফ্যান্ট রোড পার হয়ে শাহবাগ মোড়ের দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে শাহবাগ থানা কে সতর্ক করে দেয়া হয়। গাড়ি শামসুন্নাহার হলের পাশ দিয়ে যেতেই পুলিশ ও ঢাকা ভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এক সাথে গাড়িটি ধাওয়া করে। গাড়ির স্পিড কমে যাবার পর জিপিএসের মাধ্যমে গাড়ির ইঞ্জিন অফ করে দেয়া হয়। চোর গাড়ি থেকে নেমে পালানোর আগেই পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে ফেলে।
এভাবে মাত্র আধা ঘন্টার মধ্যে প্রশাসনের সহায়তায় ফাইন্ডার টিম গাড়িটি উদ্ধার করে দেন।
(২) মার্চ ২৪, ২০২২ ইং তারিখে ‘বাঁচতে শেখা’ ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর মো: মাহবুবুর রহমান তাঁর অফিসিয়াল বাইক খুলনা মেট্রো–হ ১২-৬৩৪৭ হারান একই ভাবে। রাস্তার পাশে বাইক পার্ক করে তিনি ঔষধ কিনতে দোকানে ঢুকেন। কয়েক সেকেন্ড এর ব্যবধানে এসে দেখেন তার বাইকটি উধাও।
তাঁর বাইকে ইন্সটল করা ছিল ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার। তিনি তাই সবার আগে ফাইন্ডার এর কাস্টমার কেয়ারে ফোন দেন। তাঁরা বাইকের লোকেশন ট্র্যাক করে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ জানায়৷ গোরান হাইওয়ে থানা পুলিশের সহায়তায় ফাইন্ডার টিম উনার বাইকটি উদ্ধার করে দেন।
মাত্র ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যে বাইকটি ফিরে পেয়ে মাহবুবুর রহমান নিজের চোখকে বিশ্বাস ই করতে পারেন নি। তাঁর বন্ধু, পরিজন এবং সবার উদ্দেশ্যে তাঁর একটা ই পরামর্শ, “ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার খুব দ্রুত বাইকটি উদ্ধার করতে কাজ শুরু করে দেয়। শুধু টেকনোলজি নয়; ফাইন্ডার টিমের আন্তরিকতার জন্যই আমি আমার বাইকটি এত দ্রুত ফিরে পেয়েছি।”
এমন পরিস্থিতি যাতে আপনার সাথেও না হয়; গাড়িতে আজই ইন্সটল করে ফেলুন ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার।
গাড়ি চুরি ঠেকাবে–ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকারঃ
আধুনিক জীবনের সাথে তাল মেলাতে গিয়ে উর্দ্ধশ্বাসে দৌড়াতে দৌড়াতে আমরা সবাই দিশেহারা। এর ফাঁকে নিজের প্রয়োজনীয় গাড়িটির দিকে নজর দেয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। এই ব্যস্ত সময়ে আপনার গাড়ির দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার কাজটি করছে ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার। ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার ইন্সটল করার মাধ্যমে গাড়িকে সবসময়ই হাতের মুঠোয় রাখা যায়। লাইভ ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে গাড়ির রিয়েল টাইম লোকেশান দেখা, ইঞ্জিন অন হলেই ইগনিশন এলার্ট, পার্কিং জিওফেন্স ও ২৪/৭ কাস্টমার কেয়ার সাপোর্টের মাধ্যমে গাড়ি প্রতি মুহূর্তে আপনার নাকের ডগায় থাকবে। কিন্তু, এরপরেও মুহুর্তের অসচেতনতায় গাড়ির আপডেট নিতে ভুলে যান অনেকেই। সেক্ষেত্রে আপনার গাড়ি হারিয়ে গেলেও ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার টিম ২৪/৭ ই থাকে গ্রাহকের পাশে থাকে। যে কোন গাড়ি হারানোর রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই ফাইন্ডার টিম তা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। আইন-শৃঙ্খলা কর্মীকে ও ফাইন্ডার টিম সব ধরনের সহায়তা করে। গাড়ি হারিয়ে যাওয়া ঠেকাতে তাই ফাইন্ডার জিপিএস ট্র্যাকার ই একমাত্র ভরসা।