Skip to content

২০২৫ সালে গাড়ির সুরক্ষায় সেরা হতে পারে যে ৫টি ফিচার

গাড়ির সুরক্ষায় GPS ট্র্যাকিং এখন ভরসার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের ১ম সারির গাড়ির ট্র্যাকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ফাইন্ডারের সহায়তায় শুধুমাত্র ২০২৪ সালেই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২৫+ গাড়ি। শুধু চুরি প্রতিরোধেই যে ট্র্যাকিং ডিভাইসগুলো কাজ করছে তা কিন্তু না। গাড়ির লাইভ ট্র্যাকিং, মাইলেজ হিসাব, ফুয়েল হিসাব সবকিছু পাওয়া যাচ্ছে হাতের কাছে। যা গাড়ির খরচ কমাতেও সাহায্য করছে। বাজারে ট্র্যাকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পাল্লা দিয়ে ফিচার আপডেটের কাজ করে যাচ্ছে। ২০২৫ সাল নাগাদ প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ফলে গাড়ি ট্র্যাকিং সেবা আরও নিরাপদ, কার্যকর এবং স্মার্ট হয়ে উঠবে।

ব্লগে ২০২৫ সালের সম্ভাব্য সেরা ৫টি ফিচার এবং তাদের কার্যকারিতা তুলে ধরা হলো।

১. এআই এবং মেশিন লার্নিং অ্যানালিটিক্স (AI and Machine Learning Analytics)

এআই (Artificial Intelligence) এবং মেশিন লার্নিং (Machine Learning) অ্যানালিটিক্স এমন একটি প্রযুক্তি যা ডেটার উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আগাম পূর্বাভাস দিতে সক্ষম। গাড়ির ক্ষেত্রে এটি চালকের আচরণ বিশ্লেষণ করে, রিয়েল টাইম ডেটা কালেক্ট করে, যা দিয়ে দূর্ঘটনা এড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও রুট অপটিমাইজেশন এবং জ্বালানি সাশ্রয়ে ফিচারটি দারুণ কার্যকরী। পরিবহন খাতে খরচ কমিয়ে আনবে সাথে সড়কে নিরাপত্তা বাড়বে এর মাধ্যমে। McKinsey-এর একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এআই প্রযুক্তি ফ্লিট ম্যানেজমেন্টে ৩০% পর্যন্ত দক্ষতা বাড়াতে সক্ষম।

২. রিয়েল-টাইম ভিডিও মনিটরিং (Real-Time Video Monitoring)

রিয়েল-টাইম ভিডিও মনিটরিং-এর মাধ্যমে গাড়ির অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক পরিস্থিতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। এটি চালকের সুরক্ষার পাশাপাশি গাড়ির সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। যেকোন ধরণের দুর্ঘটনা বা চুরির ঘটনার প্রমাণ সংগ্রহে সহায়তা করবে। আইনিভাবে ঝামেলা এড়ানো থেকে শুরু করে গাড়ির বীমা(Insurance) প্রক্রিয়াকে সহজ করে দিবে এটি। Statista-র তথ্যমতে, ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ৭০% ফ্লিট রিয়েল-টাইম ভিডিও মনিটরিং গ্রহণ করেছে।

৩. উন্নত জিও-ফেন্সিং (Advanced Geofencing)

Allied Market Research-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, ২০২৫ সালের মধ্যে শুধুমাত্র জিও-ফেন্সিং প্রযুক্তির বাজারমূল্য ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। গাড়ি নির্ধারিত এলাকার বাইরে গাড়ি গেলে তাৎক্ষণিক সতর্কবার্তা, নির্দিষ্ট এরিয়া চিহ্নিত করে কার্যক্রম পরিচালনা; এসবই মূলত জিও-ফেন্সিং-এর কাজ। ব্যক্তিগত গাড়ির নিরাপত্তা বাড়াতে যেমন কার্যকরী তেমনি এটি ফ্লিট ম্যানেজমেন্টে আরও নিয়ন্ত্রণ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

৪. ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT) প্রযুক্তি

অন্যান্য ক্ষেত্রের মত গাড়ির ট্র্যাকিং সেবাতেও IoT ডিভাইসের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। Gartner এর তথ্যমতে, ২০২৫ সালের মধ্যে IoT ডিভাইসের সংখ্যা ৭৫ বিলিয়নে পৌঁছাবে। IoT প্রযুক্তি গাড়ির সুরক্ষায় নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করবে। দূর থেকে গাড়ির দরজা লক/আনলক করা, তাপমাত্রা, জ্বালানি পর্যবেক্ষণ এসব নিখুঁতভাবে করবে IoT। ফ্রিজিং গাড়িগুলোর জন্য যা অনেক বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। 

৫. এডভান্সড এন্টি-থেফট প্রযুক্তি (Advanced Anti-Theft Technology)

NICB (National Insurance Crime Bureau) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর গাড়ি চুরির কারণে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৬ বিলিয়ন ডলার। যা গাড়ি মালিকদের জন্য চিন্তার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এডভান্সড এন্টি-থেফট প্রযুক্তি- গাড়ি চুরির ঝুঁকি কমানো এবং সেই সাথে মালিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এর মাধ্যমে ইঞ্জিন শাটডাউন সিস্টেম, বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন, রিয়েল-টাইম অ্যালার্ম সেট করা সম্ভব।

২০২৫ সালে শুধু গাড়ির সুরক্ষায় এসব ফিচার কাজ করবে না, বরং জীবনের নিরাপত্তা এবং আর্থিক সাশ্রয়ে নতুন মাত্রা যোগ করবে। কর্পোরেট এবংইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্ষেত্রে ড্রাইভারদের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে ট্র্যাকিং সেবা। পরিবহনখাতে খরচ কমানোর পাশাপাশি যানজট নিরসনেও কাজ করতে পারে এগুলো। গাড়িকে সুরক্ষিত রাখতে এবং স্মার্ট ব্যবস্থাপনায় এগিয়ে থাকতে, এই আধুনিক প্রযুক্তিগুলো গ্রহণ করা, সেরা সিদ্ধান্ত হতে পারে আপনার জন্য। 

 

গাড়ির নিরাপত্তায় ফাইন্ডার সম্পর্কে জানতে
গাড়ির নিরাপত্তায় ফাইন্ডার সম্পর্কে জানতে