জীবনের পাশাপাশি বাইকের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে । কেননা মহামারীতে মানুষের আয় কমে গেছে, অনেকেই চুরির পথ বেঁছে নিয়েছে।
পৃথিবীজুড়ে চলছে করোনা মহামারি। মৃত্যুর মিছিলে সামিল হয়েছে চল্লিশ লাখের বেশি মানুষ। পুরো পৃথিবীর মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদেই সচেতন হতে বাধ্য হচ্ছে। মানুষ সাধ্যমত চেষ্টা করছে অপরিচিত এই ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে। নিচ্ছে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা, অথবা স্বেচ্ছা হোম কোয়ারেন্টাইন।
করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। সংখ্যাটা নিতান্তই ছোট নয় মোটেই। তবে লকডাউনে থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু।
পুরো দেশে যখন লক ডাউন চলছে এবং বেশিরভাগ মানুষই থাকছেন ঘরে, ঠিক এই সময়ে সড়কে মানুষের দুর্ঘটনা কবলিত হবার কারন কী হতে পারে? গত এক মাসে সড়ক মোট ৬৩ টি সড়ক দূর্ঘটনা বাইক কেন্দ্রিক। এগুলোর বেশির ভাগই অতিরিক্ত গতিতে চলা, এবং ট্রাফিক নিয়ম না মানার ফলাফল। ফাঁকা রাস্তা পেয়ে বাইকাররা যত্রতত্র স্ট্যান্ট করার চেষ্টাও করছেন এর সাথে বেপোরোয়া হয়ে চালানোতো আছেই। সর্বোপরি বলা যায় ট্রাফিক আইনের বালাই না মেনে চলার ফলাফলই হলো বেশিরভাগ সড়ক দূর্ঘটনা। মোটর বাইকাররা সড়ক পথের ঝুঁকি এড়াতে যেসকল বিষয় মেনে চলা উচিৎ তা হলোঃ
বাইকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন
১। রাইডে সবসময় ভালো মানের হেলমেট ব্যাবহার করা।
২। মোটর সাইকেল চেক করে ঘর থেকে বেরোনো।
৩। খালি রাস্তায় চলতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা।
৪। বৃষ্টিতে, ধুলায়, কুয়াশায় বা অন্ধকারে বাইক চালাতে অতিরিক্ত গতি পরিহার করা।
৫। রাস্তায় বালি, ভেজা পাতা, নুড়ি পাথর থাকলে সেই রাস্তায় সাবধানে চালানো।
৬। গর্ত সহ রাস্তায় বাইকের গতি সীমিত রাখা।
৭। বৃষ্টির সময় বা পরে ভেজা রাস্তায় বাইকের চাকা যেনো স্লিপ না করে তা খেয়াল রাখা।
৮। আশে পাশে বড় গাড়ি, যেমন ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান থাকলে তাঁর সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা।
সড়কে মোটর বাইকের ক্ষেত্রে গতি সীমিত রাখা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে আপনি গতি সীমিত রাখার জন্য স্পিড লিমিট সেট করে দিতে পারেন ফাইন্ডারে। যা আপনার গতি বৃদ্ধির সাথে সাথেই আপনাকে মনে করিয়ে দিবে আপনার সহনীয় মাত্রা। আর আপনার বাইকের ব্যাটারির সুরক্ষায় এই লকডাউনে ব্যাবহার না হলেও প্রতিদিন অল্প কিছু সময়ের জন্য বাইক স্টার্ট দিয়ে রাখতে ভুলবেন না।
সড়কে সকল মোটরবাইকের দূর্ঘটনার কারন কেবল রাইডার নিজেই হন না। দুর্ঘটনার একটা বড় অংশ ঘটে অন্যান্য বড় গাড়ীর বেপরোয়া চালনার কারনে। তবুও নিজের ও বাইকের নিরাপত্তা এর কথা মাথায় রেখে যথাসাধ্য ট্রাফিক আইন এবং ব্যাক্তিগত নিরাপত্তা মেনে চললেই কেবল সড়ক দূর্ঘটনার হার কমিয়ে আনা সম্ভব।