৪ সেপ্টেম্বর, রাত তখন প্রায় নয়টা। রাস্তায় পুরোপুরি ব্যস্ততা। গাড়ি আসছে, যাচ্ছে। মানুষের আনাগোনাও কমেনি। লম্বা জার্নির ক্লান্তি কমাতে এক কাপ চা খাওয়ার জন্য কাঁচপুর ব্রিজের কাছাকাছি একটা চায়ের দোকানে গাড়ি থামালো ড্রাইভার। কিন্তু সেই বিরতিটাই অন্ধকার নামিয়ে আনলো। কিছু বুঝে উঠার আগেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা ৪-৫জন মানুষের বেধড়ক মার শুরু। গাড়ির চাবি , কাগজপত্র, মানিব্যাগ ততক্ষণে তাদের হাতে। ড্রাইভার পুরোপুরি হতভম্ব, কি হচ্ছে আসলে এখানে!
গাড়ির মালিক আলামিন সাহেব তখন পাবনায় তার বাসাতে।
উনার কাছে তার ড্রাইভারের নাম্বারে একটা কল আসে। সাধারণ কোন কল না ডিরেক্ট থ্রেট কল। ছিনতাইকারীদের একজন কথা বলে,
“ আপনার গাড়ি এবং ড্রাইভার আমরা দুইডাই আটকাইছি, ৫০০০০টাকা দিলেই ছাইড়া দিব”
ওপাশ থেকে ফোন কেটে দেওয়া হয়। তারপর আর উনাকে ড্রাইভারের সাথেও কথা বলতে দেওয়া হয়নি। তিনি জানেন না কি হচ্ছে সেখানে। যেটা জানেন সেটা হচ্ছে গাড়ির লোকেশন(Location)। আর জানেন কি করতে হবে এখন তার।
তিনি পাবনাতে বসেই তার মোবাইলে ফাইন্ডার অ্যাপটা বের করেন। সেখান থেকে গাড়ির লোকেশনটা দেখে নেন। সেটা তখন কাঁচপুর ব্রিজের কাছাকাছি। তারপর ৯৯৯-এ কল দিয়ে সেখানের পুলিশের সহায়তা চান, যে তার গাড়িটা ছিনতাই হয়েছে-ড্রাইভারও জিম্মি যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পুলিশের সাথে লোকেশনও শেয়ার করে দেন। একই সাথে ফাইন্ডার কাস্টমার কেয়ারে কল দিয়ে দায়িত্বরত প্রতিনিধিকে সংক্ষেপে ঘটনাটা জানান এবং ইঞ্জিনটা বন্ধ(Engine off) করে দিতে অনুরোধ করেন। যাতে তারা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে।
পুলিশ দ্রুত নির্ধারিত লোকেশনে পৌঁছে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে ড্রাইভার এবং গাড়ি উভয়কেই উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ।
সবশেষে গাড়ির মালিক আলামিন সাহেবের একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস, “ফাইন্ডারে লোকেশন দেখতে পারছিলাম বলেই গাড়িটা ফিরে পেয়েছি আজ”।